স্মরণাতীতকাল থেকে এশিয়া
পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পৃথিবীর সকল প্রাচীন সভ্যতা, সকল ধর্মের জন্মস্থান ও বিকাশের স্থান এশিয়া। এ জন্যই সকল
ধর্মের মৌলিক প্রেরণা রয়েছে এশিয়ায়, অন্য কোনো মহাদেশে নয়। অন্যান্য মহাদেশ এশীয় ধর্মের অনুসারী। কিন্তু ধর্মের
আবির্ভাব ও বিকাশ এশিয়ায় হওয়ায় ধর্ম, মানবতা, মানবিক সভ্যতার
তীর্থস্থান এশিয়া। অন্যান্য মহাদেশে এশীয় ধর্ম পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লেগেছে,
উক্ত দীর্ঘ সময়ে বেশিরভাগ ধর্মই বিকৃত হয়ে
অন্যান্য মহাদেশে পৌঁছেছে। ফলে খাঁটি ধর্ম, মানবসভ্যতা, মানবিকতা
সভ্যতা-ভব্যতার মৌলিক স্বাদ অপরাপর মহাদেশবাসীরা আস্বাদন করতে পারেনি। একারণেই
মৌলিক মানবিক গুণাবলীসমূহ অপরাপর মহাদেশে খুব কমই দৃষ্টিগোচর হয়।স্পেন ও ইউরোপের
আরো কিছু কিছু অঞ্চলে মুসলমান শাসনের ফলে ইউরোপ জেগে ওঠে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে
একসময় মুসলমানদেরকে ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে ইউরোপীয়রা পৃথিবীর দেশে দেশে
ছড়িয়ে পড়ে এবং ছলে-বলে- কৌশলে এশীয়দের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এবং এশিয়ার দেশে
দেশে অর্থ ও ক্ষমতালোভী একশ্রেণীর মানুষের সহযোগিতায় কালক্রমে এশিয়া ও অপরাপর
মহাদেশে নিজেরা একাধিপত্য কায়েম করে। উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী হয়ে তারা মানবিক
সভ্যতার স্থলে যান্ত্রিক ও অমানবিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করে। লুণ্ঠন ও নৃশংসতাই
ইউরোপীয় সভ্যতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, শালীনতা, সভ্যতা-ভব্যতার কবর রচিত
হয়। তাদের দস্যুতা ও অমানবিকতা বিশ্বের প্রতিটি নিভৃত কোনের জনগোষ্ঠীকে বর্তমানে
সীমাহীন দুর্ভোগে পতিত করেছে। এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে হলে বিশ্বের নেতৃত্বে আসীন
হতে হবে এশীয়দেরকে। তবেই বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে।
বর্তমানে বিশ্ব নেতৃত্বের
পালাবদলের সময় এসেছে। অগ্রসর চিন্তার ক্ষেত্রে এশিয়াও ক্রমান্নয়ে ইউরোপের
সমকক্ষতা অর্জন করেছে। এশিয়ার সচেতন নাগরিকগণ বর্তমানে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে
যে, এশিয়ার সকল অশান্তির মূলে রয়েছে যায়নবাদী
ইসরাইল ও তার বরকন্দাজ ইউরোপ এবং আমেরিকা। যায়নবাদীদের বিশ্বশাসনের আকাংখা এবং
ইউরোপ-আমেরিকার লুণ্ঠনবৃত্তিই মূলত সমগ্র পৃথিবীর অশান্তির জন্য দায়ী।
যায়নবাদীদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা Protocol of the Elders of the Zion- এর অনুসরণে রচিত মনরো ডকট্রিন, আইসেন হাওয়ার ডকট্রিন, হিটলারের মাইন ক্যাম্প পৃথিবীকে ২টি বিশ্বযুদ্ধ এবং অসংখ্য
যুদ্ধে লিপ্ত করেছে। ১৯৪৭ সালে বৃটিশরা ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নেয়ার সময় এদেশে
কিছু ভাবশিষ্য রেখে যায় যারা রচনা ও চর্চা করছে নেহেরু ডকট্রিন, গুজরাল ডকট্রিন তথা দি ইন্ডিয়া ডকট্রিন। উক্ত Protocol
ও ডকট্রিনের মূল কথা হলো অপরাপর জাতিকে
হত্যা-লুণ্ঠনের মাধ্যমে নিজ জাতির সমৃদ্ধি ও আধিপত্য বিস্তার করা।
সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের
জন্য, পৃথিবীকে শান্তির
আবাসভূমি হিসেবে পরিণত করার জন্য উপরোক্ত Protocol ও ডকট্রিনের অনুসারীদের নিকট থেকে বিশ্বের নেতৃত্ব কেড়ে
নিতে হবে এবং মানবীয় সভ্যতার পাদপীঠ এশিয়াকে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে আসীন করতে
হবে। এশিয়া বর্তমানে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে আসীন হওয়ার যোগ্যতা ও ক্ষমতা অর্জন
করেছে তবে উক্ত যোগ্যতা ও সামর্থ্য সমন্বিত রূপলাভ করেনি। ক্ষমতা ও সামর্থ্যরে
সমন্বয় করার জন্য প্রয়োজন একটি থিংকট্যাংক যা নিউক্লিয়াসের ন্যায় ভূমিকা রাখবে
এবং লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাবে। এশিয়ার সমর্থ্য ও করণীয় সম্পর্কে এশিয়ার দুইজন
অর্থনীতিবিদের বক্তব্য নিমড়বরূপ-
আগস্ট ’০৯ সালে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অনুষ্ঠিত 'Conference
on the effects of
the Global economic crisis on Asia' শীর্ষক সম্মেলনে চীনের ব্যাংকিং রেগুলেটরি কমিশনের প্রধান
উপদেষ্টা দাতুক সেরি আঞ্জুসের ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
ওয়াই-ভি-রেড্ডি বলেন, “বিশ্বের মোট মজুদ
মুদ্রার ৬৭%, মোট জনসংখ্যার ৫৫% এবং
বিশ্ব জিএনপি (GNP)’র উল্লেখযোগ্য অংশ
এশিয়ার হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের প্রভাবশালী ২টি ঋণসংস্থা ও সংবাদ সংস্থার মালিক
পশ্চিমারা। এশিয়া যদি নেতৃত্ব দিতে চায় তবে এশীয় ঐক্য অপরিহার্য এবং এশিয়ায়
একটি থিংকট্যাংক, ঋণসংস্থা ও সংবাদ সংস্থা
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।” সূত্র : স্টার, মালয়েশিয়া, ২৪.০৮.২০০৯)।
উপরোক্ত দুইজন অর্থনীতিবিদের
প্রস্তাবিত এশীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে
এশিয়ার ঐক্যের বাধাসমূহ কি কি? এশিয়ার বর্তমান
যুদ্ধ-বিগ্রহ, রক্তপাত, উদ্বাস্তু সমস্যা, অমানবিক কার্যকলাপ কি এশীয়দের স্বার্থে হচ্ছে- নাকি আমেরিকা, ইসরাইল ও ইউরোপের স্বার্থে হচ্ছে? এশিয়ার ভূখণ্ডে বসবাস করে ইউরোপীয়দের স্বার্থে কাজ করছে
কোন গোষ্ঠী ও কোন দেশ? এর সহজ-সরল উত্তর
হলো এশিয়ার তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীসমূহ শুধুমাত্র অর্থ ও ক্ষমতার লোভে নিজ
দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি ইউরোপীয়দের হাতে তুলে দিচ্ছে। এশিয়ার একটি মাত্র দেশ
ভারত নিজের আগ্রাসী মনোবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য ইউরোপীয়দের সাথে গাঁটছড়া
বেঁধেছে ও ইউরোপীয় অস্ত্রে এশিয়ায় রক্তপাত ঘটাচ্ছে এবং ভয়াবহ যুদ্ধের
প্রস্তুতি নিচ্ছে। এশিয়ার অপরাপর দেশসমূহ শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র
সংগ্রহ করছে এবং যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ভারতের এরূপ অর্বাচীন কার্যকলাপ অব্যাহত
থাকলে সমগ্র এশিয়ায় যুদ্ধের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে, যাতে ভারত নিজেও পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
পাঠকবৃন্দ! যদি এমন হতো
যে, ভারত তার আগ্রাসী পরিকল্পনা থেকে সরে এলো এবং
ইউরোপ-আমেরিকা-ইসরাইলের সাথে যুক্ত হয়ে এশিয়ায় ক্ষতি করার মনোবৃত্তি পরিত্যাগ
করলো। এমতবাস্থায় পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যেই আমেরিকা-ইউরোপ ও তাদের রোপিত
বিষবৃক্ষ ইসরাইল এশিয়া থেকে পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হবে। বিশ্ববাসী ইতিমধ্যে
লক্ষ্য করেছে যে, অর্থনীতি ও জনসংখ্যা
স্বল্পতায় আমেরিকা-ইউরোপ পতণোন্মুখ। ইরাক-আফগানিস্তানে ইউরোপ-আমেরিকার অস্ত্রের
কার্যকারিতা পরখ হয়ে গেছে। হামাস-হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলি সক্ষমতার পরীক্ষা হয়ে
গেছে। এমতাবস্থায় পতণোন্মুখ আমেরিকা- ইউরোপের পতন ঠেকাতে দরিদ্র কিন্তু উদীয়মান
ভারত নিজের পতন ডেকে আনছে কেন? ভারত যদি যুদ্ধ
প্রস্তুতির বদলে নিজ দেশের জনগণের জীবনমান উন্নত করার প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত
করে তবে ভারতের সাধারণ জনগণ চরম দারিদ্র্যসীমা থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ
জীবনযাপনে সক্ষম হতো, ভারতের সকল রক্তপাত ও
গৃহযুদ্ধ বন্ধ হতো এবং ভারতের প্রতিবেশীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারতো। আমেরিকা ও ভারতের
বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক হালচাল সংক্ষেপে নিম্নরপঃ
মার্চ ২০০৯ সালে
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রিজার্ভ ফান্ডে দেনার পরিমাণ ১১
ট্রিলিয়ন ডলার। তন্মধ্যে বিদেশীরা পাবে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। উক্ত দেনার পরিমাণ
নিমড়বরূপ- ১. জাপান- ৬৮৬.৭ বিলিয়ন ডলার। ২. চীন- ৭৭৬.৯ বিলিয়ন ডলার। ৩.
ক্যারিবীয় দেশসমূহ- ২১৩.৬ বিলিয়ন ডলার। ৪. ভারত, ফ্রান্স, মেক্সিকো,
কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক- ২০৪
বিলিয়ন ডলার। ৫. মিসর, ইসরাইল, ইতালি, নেদারল্যান্ড,
থাইল্যান্ড- ১২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। ৬. আলজেরিয়া,
বাহরাইন, ইকুয়েডর, গ্যাবন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব,
আরব আমিরাত, ভেনিজুয়েলা- ১৯২ বিলিয়ন ডলার। ৭. বেলজিয়াম, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া,
ফিলিপাইন, সুইডেন- ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার। ৮. ব্রাজিল- ১২৬.৬ বিলিয়ন
ডলার। ৯. লুক্সেমবার্গ- ১০৬.১ বিলিয়ন ডলার। ১০. জার্মানি- ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন
ডলার। ১১. বৃটেন- ১২৮.২ বিলিয়ন ডলার। ১২. আয়ারল্যান্ড- ৫৪.৭ বিলিয়ন ডলার। ১৩.
তাইওয়ান- ৭৪.৮ বিলিয়ন ডলার। ১৪. হংকং- ৭৮.৯ বিলিয়ন ডলার। ১৫. সুইজারল্যান্ড-
৬৭.৭ বিলিয়ন ডলার। ১৬. রাশিয়া- ১৩৮.৪ বিলিয়ন ডলার। ১৭. অন্যান্য দেশ- ১৫৬.৭
বিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, অক্টোবর ২০০৯
পর্যন্ত চীনের নিকট যুক্তরাষ্ট্রের দেনার পরিমাণ হয়েছে ৮৪০ বিলিয়ন ডলার
(আল-জাজিরা : ২০.১০.০৯)। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আরো ঋণ সংগ্রহ করেছে এবং হাজার
হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
<b>ভারতের দারিদ্র্য</b>
দিল্লি সরকার পশ্চিমের
কয়েকটি রাজ্যের সমৃদ্ধির জন্য বাকি রাজ্যগুলোকে শোষণ করছে। বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ,
কাশ্মীর রাজ্যের জনগণের মাথাপিছু আয় অপেক্ষা
মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানা,
অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও কেরালা রাজ্যের জনগণের মাথাপিছু আয় ৫ থেকে ১০
গুণ বেশি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর স্থানীয় জনগণের আয় দারিদ্র্যসীমার
নিচে। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতের ৮৫.৭% লোকের দৈনিক আয় ২.৫ ডলারের নিচে
এবং ৪১.৬ ভাগ লোকের আয় দারিদ্র্যসীমার নিচে অর্থাৎ ১.২৫ ডলার। বিশিষ্ট সাংবাদিক
সিরাজুর রহমান ৮/৯/০৯ সালে দৈনিক নয়াদিগন্তে লিখেছেন, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৬% চরম দরিদ্র। ঋণের দায়ে ও অনাহারে
বিগত ১০ বছরে ভারতের ২ লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছে। বর্তমানে প্রতি আধঘণ্টায় একজন
কৃষক আত্মহত্যা করে।
উপরোক্ত তথ্য-উপাত্তের
মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, পরের ধনে পোদ্দারি করা আড়তদার আমেরিকা যদি লুটপাট করার
সুযোগ না পায় তবে অচিরেই নব্বইয়ের দশকের সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাগ্যবরণ করবে। আর
ভারত হচ্ছে সর্বাঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত সুন্দর মুখ-মণ্ডলের মানুষের ন্যায় যার
উপরের অংশই শুধু সুন্দর।
মানবজাতির সুখ-সমৃদ্ধি ও
উন্নতির জন্য যান্ত্রিক ও পাশবিক সভ্যতার ধারক-বাহক পাশ্চাত্যের নিকট থেকে মানবিক
সভ্যতার অধিকারী প্রাচ্যকে বিশ্ব নেতৃত্বে আসীন হতে হবে। এ জন্য প্রাচ্যের
বুদ্ধিজীবী ও জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রাচ্যের স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবী ও
রাষ্ট্রনায়করা যদি এ লক্ষ্যে সুচিন্তিত পদক্ষেপে অগ্রসর হয়ে জনগণকে সচেতন করে
তবে জনগণ পাশ্চাত্যের আজ্ঞাবহ- অর্থ ও ক্ষমতালোভী সেবাদাসদেরকে ক্ষমতার মসনদ থেকে
ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে এবং পাশ্চাত্যের স্বার্থে প্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টিকারী দেশ ও গোষ্ঠীকে সমুচিত শিক্ষা দেবে। এরূপ আকাংখা এ মুহূর্তে অসম্ভব মনে
হলেও বাস্তবে অপশক্তির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। নইলে পৃথিবীতে মানবজাতি এতদিন টিকে
থাকতে সক্ষম হতো না।
০১/১০/২০০৯
সম্পাদকীয়ঃ ইতিহাস
অন্বেষা ডিসেম্বর ২০০৯।
No comments:
Post a Comment