Wednesday, January 11, 2012

পাকিস্তানের বর্তমান সংকট, কারন ও সম্ভাব্য প্রতিকার


পাকিস্তানের বর্তমান সংকটের উৎপত্তি মেমোগেট কেলেংকারী থেকে। মেমোগেট কেলেংকারী হল, “পাকিস্তানী বংশোদ্ভুদ মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ এই মর্মে তথ্য প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাক্কানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীর নির্দেশে একটি চিঠির খসড়া প্রস্তুত করে মনসুর ইজাজের মাধ্যমে সাবেক মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মাইক মুলেনের হাতে প্রদান করেন। (মাইক মুলেনও উক্ত চিঠির সত্যতা স্বীকার করেন তবে চিঠিটি স্বাক্ষরবিহীন ছিল বলে তিনি জানান) মার্কিন বিশেষ বাহিনী কর্তৃক উসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পর সেনাবাহিনী সরকারের উপর ক্ষুব্দ হলে জারদারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আই.এস.আই এর ক্ষমতা খর্ব করে জারদারীর সরকারকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করে এই চিঠি দেওয়া হয় বলে মনসুর ইজাজ তথ্য প্রকাশ করেন।” ইহাই বিখ্যাত মেমোগেট কেলেংকারী হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে।

জারদারী ও পারভেজ মোশাররফ যে মার্কিন পাপেট তা সর্বজন বিদিত। দেশবাসীর নিকট জনপ্রিয়তা হারানোর কারনে মোশাররফকে সরিয়ে জারদারীকে পাকিস্তানে ক্ষমতাশীল করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মার্কিন বিরোধী জনগণ, শক্তিশালী বিচার বিভাগ ও সেনাবাহিনীর কারনে জারদারীর দ্বারা প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি। তদুপরি জারদারী প্রভুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইরান, পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন চুক্তি করে প্রভুদের খরচের খাতায় নিজের নাম লিখান। জারদারীকে বিপদে ফেলতেই মাইক মুলেন মনসুর ইজাজের ফাঁস করা তথ্যের পক্ষে সম্মতি প্রদান করেন। অথচ এসব পাপেটকে ক্ষমতায় বসানো, ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য কত প্রকার চিঠি চালাচালি, গোপন পরামর্শ  ও চুক্তি হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। সকল গোপন ষড়যন্ত্র ফাঁস না করে শুধু জারদারীকে ফাঁসানোর জন্য তথ্য ফাঁস করার বিষয়টি অবশ্যই রহস্য জনক।

পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাক গলিয়েছে। বারবার পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শাসন উৎখাত করে সামরিক শাসন ও পুতুল শাসককে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠা করেছে। এক পুতুলকে দিয়ে মনোবাসনা পুরন না হলে অপর পুতুলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এতদ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পাকিস্তান নীতি শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয়েছে। পাকিস্তানী জনগণের সচেতনতা, শক্তিশালী দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ, চীন-পাকিস্তান-ইরান ঘনিষ্টতা যুক্তরাষ্ট্রকে স্বীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে বারবার বাধা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পাকিস্তান নীতিই পাকিস্তানকে অস্তিত্ব সংকটে নিমজ্জিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া নীতি বাস্তবায়নে পাকিস্তান একটি বড় বাধা স্বরূপ। এখানে পাকিস্তানের চাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা সাংঘর্ষিক। এতদ সংক্রান্ত কিছু তথ্য নিম্নে প্রদান করা হল-

১। ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপনঃ
শান্তির পাইপ লাইন নামে খ্যাত ইরান-পাকিস্তান ইন্ডিয়া (IPI) পাইপ লাইনের ব্যাপারে ভারত ২০০৮ সালে সম্মত হলেও মার্কিন চাপে তখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ (IPI) বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ পশ্চিম, দক্ষিণ, মধ্য এবং পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি জ্বালানি সংহতি ও সমৃদ্ধি গড়ে উঠতে পারে যদি এতে চীন ও মধ্য এশিয়া যোগ দেয়।
জ্বালানী স্বল্পতার দেশ পাকিস্তান এতে নিজেও উপকৃত হবে এবং এশিয়ার জ্বালানী করিডোরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে দীর্ঘ মেয়াদে পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে। পরবর্তী পর্যায়ে IPI বাস্তবায়িত হলে মার্কিন অর্থ সাহায্য ছাড়াই পাকিস্তান স্বনির্ভর হবে এবং পাক-ভারত বৈরীতা অনেকাংশে কমে যাবে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর আফগানিস্তান-পাকিস্তান অভিযানের প্রধান কারন ছিল মধ্য এশিয়া ও আফগানিস্তানের অনুত্তোলিত বিপুল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ পাকিস্তানের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া। এমতাবস্থায় ইরান-পাকিস্তান-ভারত/পাকিস্তান-চীন-মধ্য এশিয়া পাইপ লাইন মার্কিন ও ন্যাটোর স্বার্থের পক্ষে চরম ক্ষতিকর হয়ে পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক পতন ত্বরান্বিত করবে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও মধ্য এশিয়াকে সমৃদ্ধ করবে, এসব দেশে পাশ্চাত্যের খবরদারি বন্ধ হয়ে যাবে। 

২। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া পলিসিঃ
পাশ্চাত্যের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মূল পলিসি হল এশিয়ার উদীয়মান বিশ্বশক্তি চীনকে দমন করা। বিশাল জনগোষ্ঠীর চীনকে দমাতে প্রয়োজন বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অপ্রতিদ্বন্ধীরূপে প্রতিষ্ঠা করা, ভারতকে মোড়ল বানাতে হলে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানের নিকট থেকে পরমানু অস্ত্র কেড়ে নিতে হবে, পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে এবং পাকিস্তানকে জাতিগত ভাবে কমপক্ষে তিন টুকরা করতে হবে। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাশ্চাত্য শক্তি প্রথমে পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তি নওয়াজ শরীফকে অপসারন করে তৎস্থলে ভারত-মার্কিন বলয়ের সহযোগী ও পাপেট  পারভেজ মোশাররফকে ক্ষমতাসীন করে, ন্যাটো পারভেজ মোশাররফের সহযোগীতায় আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে উৎখাত করে আফগানিস্তান দখল করে। আফগানিস্তানে অবস্থান করে পাকিস্তানের বৃহত্তর যোদ্ধা জনগোষ্ঠী পশতুনদের ভিতর থেকে দালান সংগ্রহ করে তেহেরিক-ই-তালেবান প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর ব্রেইন চাইল্ড আল-কায়েদাকে টিটিপির সহযোগী করে পাক-আফগান সীমান্তের উভয় পাশের পশতুনদেরকে দলে ভিড়িয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনবরত রক্তাক্ত হামলা পরিচালনা করে পাকিস্তানকে ধর্মীয় সামাজিক-জাতিগত ও গোত্রীয়ভাবে অস্থিতিশীল করে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে নিয়ে যায়।

৩। অস্বাভাবিক সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশী সুবিধা আদায়ঃ
পাশ্চাত্যের সেবাদাশ পারভেজ মোশাররফের গ্রহনযোগ্যতা চরমভাবে বিতর্কিত হলে বেনজীর ভূট্টোকে হত্যার ব্যবস্থা  করে সহানুভূতির ভোটে আরেক দুর্বল পুতুল আসিফ আলী জারদারীকে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট ছিল জারদারীকে দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা হবে, আই.এস.আই এর সক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যাবে এবং দুর্বল পাকিস্তানের নিকট থেকে পরমানু অস্ত্র সমূহ কেড়ে নেয়া হবে। কিন্তু আই.এস.আই মার্কিন-জারদারী ষড়যন্ত্র আগেভাগে উদঘাটন করায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ হয়। ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক দূরবস্থা থেকে উদ্ধারে জারদারী ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন চুক্তি স্বাক্ষর করায় যুক্তরাষ্ট্র জারদারীকে সরিয়ে ইমরান খান অথবা পারভেজ মোশাররফকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল দেখতে পাচ্ছে, উক্ত গ্যাস পাইপ লাইন চুক্তির পর পরই পাকিস্তানের উপজাতি অঞ্চলে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি করে উপজাতিদের সাথে পাকিস্তান সরকারের যুদ্ধাবস্থা তৈরী করা হয়, বিনা অনুমতিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে ওসামা বিন লাদেনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ব্যাপারে জনগণকে ক্ষুব্ধ করা হয়। সর্বশেষ মেমোগেট কেলেংকারী ফাঁস করে দিয়ে জারদারীর ক্ষমতায় টিকে থাকাকে অসম্ভব করে তোলা হয়। এরপরই শুরু হয় পাকিস্তানে নতুন পাপেট সরকার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম। উক্ত কার্যক্রম হল- (১) ইমরান খানের নামসর্বস্থ তেহেরিক-ই-ইনসাফ দলের লাইম লাইটে আসা, (২) পিপিপি থেকে মার্কিনপন্থী নেতাদের ইমরান খানের দলে যোগ দেয়া, (৩) ভারতপন্থী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের ইমরান খানের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়ানো।, (৪) পারভেজ মোশাররফের পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা এবং পিপিপি থেকে ইমরান খানের দলে যোগ দেয়া মার্কিন পন্থী মাহমুদ শাহ কোরেশীর পারভেজ মোশাররফের সাথে জোট গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করা। যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান নীতি ও পুতুল সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে ৩০ জুন ২০১১ সালে নিউজ লাইনকে দেয়া সাবেক আই.এস.আই প্রধান লেঃ জেনারেল (অবঃ) হামিদ গুলের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে সংক্ষেপে যা জানা যায় তা হল-

১।পাকিস্তানের কৌশলগত সম্পদরাজির উপর প্রতিটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জডিত।
২।সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফই যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেডে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। পাকিস্তানকে অনৈসলামি করন, পরমানু অস্রমুক্ত করন ও চীনের সাথে সম্পর্কছেদের পর্যায়ে নিয়া গেছে মোশাররফ।
৩।পাকিস্তানের নৌঘাঁটি মেহরান হামলায় জডিত ছিল মারকিন-ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গ্রুপ।
৪। পাশ্চাত্য কতৃক পরিচালিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অর্থ হচ্ছে পাকিস্তান কে অস্থিতিশীল করা এবং পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংস করে ভারতকে আঞ্চলিক মোডল বানানো।
৫। ৯/১১ হামলা হল বিশ্বব্যাপী নির্দোষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করার মার্কিন এজেণ্ডা বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র।
৬। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হোসাইন হাক্কানি এবং ইসলামাবাদের আরও কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তি সরাসরি সি,আই,এর স্বার্থ দেখাশুনা করছে।
৭। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সবসময় পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আই,এস,আইকে দুর্বল করে অন্যদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়।(সূত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত ১২/০৭/২০১১,অনুবাদঃ হাসান শরীফ।)




সমূহ ধ্বংস থেকে রক্ষা পেতে পাকিস্তানীদের করণীয়
১। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী দেশ প্রেমিক জোট গঠন করা। এ জোটে পি.পি.পির সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অংশ দেশ প্রেমিক ইসলাম পন্থী দল সমূহ থাকা চাই।
২। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল না করে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরে কার্যকর সহায়তা প্রদান।
৩। ইচ্ছাকৃতভাবে জারদারীকে হেনস্তা করার চেষ্টা না করা। কেননা জারদারীর ভুলত্রুটি থাকলেও তিনি ইরানের সাথে গ্যাস পাইপ লাইন চুক্তি করে পাকিস্তানের উপকার করেছেন এবং সাম্রাজ্যবাদীদের চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছেন। সুতরাং সাম্রাজ্যবাদীদের চাওয়া ও দেশ প্রেমিকদের চাওয়া যেন এক না হয়। 
৪। চীন, ইরান ও মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা এবং সম্ভাব্য ন্যাটো ইরান যুদ্ধে ইরানের পাশে থাকা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সম্ভাব্য ন্যাটো ইরান যুদ্ধে পাকিস্তান যদি দৃঢ়ভাবে ইরানের পাশে অবস্থান নেয়, জি.সি.সি যদি নিরপেক্ষ থাকে তবে চীন ও রাশিয়া ইরানের পক্ষে অবস্থান নেবে। এমতাবস্থায় ন্যাটোর জন্য এটি হবে সর্বশেষ খেলা।
৫। পাকিস্তান ও আফগান তালিবানদের মধ্য সৃষ্ট সন্দেহ অবিশ্বাস দূর করার ব্যবস্থা নেয়া। এর মাধ্যমে তালেবানরা ন্যাটো ও ভারত থেকে দূরে সরে যাবে।
৬। সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট তেহেরিক-ই-তালিবানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা অন্যথায় শ্রীলংকার মাহিন্দ্রা রাজাপাকসের থেরাপি প্রয়োগ করা।
৭। ‘বালুচ’ দের সাথে সৃষ্ট সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা।
৮।সাম্রাজ্যবাদের চি‎হ্নিত দেশীয় এজেন্টদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
সম্পাদকঃ মাসিক ইতিহাস অন্বেষা।

No comments:

Post a Comment